এস আল আলামিন পটুয়াখালী প্রতিনিধি।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নং কনকদিয়া ইউনিয়নে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে অর্থ লুট ও জীবন নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী কনকদিয়া ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মিজান কাজী (৫০)। রবিবার (২০/১১/২০২২ ইং) তারিখ দুপুর আনুমানিক ১.৫০ মিনিটের সময় ইউনিয়নের কনকদিয়া বাজারে মেসার্স কাজী এন্টার প্রাইজ নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে এ হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সত্যাধিকারী মেহেদী হাসান(সিজান) (২০) এর পিতাঃ মিজান কাজী ৮ নং ইউপি সদস্য বাদী হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে, হামালাকারী কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছোট ভাই (১).জহিরুল ইসলাম (টিপু) হাওলাদার (৪২), (২).আসাদ হাওলাদার (৩৮), উভয় পিতাঃ গফুর হাওলাদার, এবং ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত রাজ্জাক সিকদারের ছেলে (৩).আসলাম সিকদার (৩৬) তিনি পেশায় কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ২১ জুন-২০২২ ইং তারিখ কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হেরে যাওয়ায় তার ভাই ও সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এরই জের ধরে গত (২০’নভেম্বর-২০২২ ইং) তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় মেহেদী হাসান (সিজান) কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারধর করতে চাইলে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে বিবাদের হাত থেকে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে কনকদিয়া বাজারে দুপুর আনুমানিক ১.৫০ মিনিটের সময় জহিরুল ইসলাম (টিপু) এর নেতৃত্বে আসাদ হাওলাদার ও আসলাম সিকদার তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড নিয়ে মারধর করতে খোজাখুজি করে না পেয়ে দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে দোকানের কর্মচারীরা নিষেধ করলে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে বিবাদীরা হামলা চালায় ও ভাংচুর করে এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ক্যাশ থেকে নগত ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দেখিয়ে ইউপি সদস্য মিজান কাজী ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে খুন করার হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। এব্যাপারে অভিযুক্তদের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বহুবার ঝামেলা হয়েছে উল্টো ফার্মেসী ভাংচুর জহিরুল ইসলাম টিপু কে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বহু মামালয় আসামি মেহেদী হাসান সিজান ও তার পিতাঃ মিজান কাজী গং। তিনি আরও বলেন আমি রাজনীতি করি আমাকে হেও প্রতিপন্ন করতে এসব করছেন প্রতিপক্ষ। আমিও বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি পুলিশ আমার অভিযোগ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে কিন্তুু এজাহার করেনি তালবাহানা করছে কেন জানিনা।তার বিষয়গুলো হালকা করে দেখছে পুলিশ। তাছাড়া মারধরের পরে জহিরুল ইসলাম টিপু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ আমার অভিযোগ সংশোধন করতে বলে কেন জানিনা অথচ আমি আগে অভিযোগ নিয়ে থানায় আসলেও এজাহার নিচ্ছে না পুলিশ। অভিযোগকারীর মেহেদী হাসান (সিজান) গং এর বিরুদ্ধে শফিকুল ইসলাম গং এর অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সিজান গং বলেন, আসামি জহিরুল ইসলাম (টিপু) একজন সন্ত্রাসী ও একাধিক মাদক মামলায় আসামি বিগত দিনে সে ক্রোস ফায়ারের আসামি ছিলো তাকে বাসা ঘেরাও পুর্বক র‍্যার আটকও করেছিলো। এবং আসলাম মাষ্টার পেশায় শিক্ষক হলেও মাদক মামলায় একাধিকবার জেলখাটা আসামি বলে জানান। তারা মিথ্যে নাটকীয় ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে অথচ পুলিশ আসার পর মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারে এসেছে এবং সারাদিন সুস্থ শরীর নিয়ে ঘোড়াফেরা করেছে।আর আমাদের নামে মিথ্যে রটাচ্ছে বলেন জানান। এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আল-মামুন বলেন,উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।